কেমন আসলে ওপ্পো রিয়েলমি ১? গভীর অনুসন্ধান।
Wed May 16, 2018 6:25 pm
চাইনিজ ব্র্যান্ড অপ্পো প্রথম বাজারে আসে 2004 সালে। তারপর ২০১৬ সালে ওপ্পো হয়ে দাঁড়ায় চায়নার সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন সর্বরাহকারী।
ওপ্পো তাদের প্রথম বারে প্রায় ২০০,০০০ টি রিটেইলারের নিকট স্মার্টফোন বিক্রি করে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাদের মূল ফোকাস ক্যামেরা ও মিডরেঞ্জে ভালো ফোন ভোক্তাদের নিকট অফিশিয়ালি পৌছে দেয়া।
কিছুদিন আগে ওপ্পো তাদের এফ৭ লঞ্চ করে। ফোনটি মিডরেঞ্জের ফোন ছিলো এবং এর জনপ্রিয়তা মোটামুটি। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওপ্পো ও এমাজন মিলে একটি ইভেন্টে তাদের আরেকটি লেস বাজেটের ফোন লঞ্চ করে যা হলো ওপ্পো রিয়েলমি ১। এর দাম শাওমির তুলনায়ও কম, কিন্তু স্পেক শাওমির মতোই। এতে রয়েছে ৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ফুল এইচডি ডিস্প্লে , হেলিও পি৬০ চিপসেট , র্যাম যথাক্রমে ৩,৪ ও ৬ জিবি ও রম যথাক্রমে ৩২, ৪৬ ও ১২৮ জিবি। ওপ্পো যার জন্য বিখ্যাত তা হলো ক্যামেরা, আর রিয়েলমিতে ক্যামেরা হলো ১৩ মেগাপিক্সেল পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশ সহ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেল। দুটি ক্যামেরা দিয়েই ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। সামনের ক্যামেরায় এপার্চার এফ ২.২ থাকায় হাল্কা আলোতেও সেলফি ভালোই আসবে। সামনের ক্যামেরায় রয়েছে বিউটিফিকেশন। এর সেন্সরের লিস্ট লম্বা, কোনটিই বাদ দেয়া হয় নি।
এর ডিজাইন এক কথায় অসাধারন এবং সামনে ফুল ভিউ ডিস্প্লে ও এর সামনে নচ না থাকায় আমার খুবই ভালো লেগেছে। নচ আসলেই একখান ক্ষ্যাত জিনিস কেউ তো বুঝলো! যাই হোক এই দামে এত সুন্দর ডিজাইন ও স্পেকিফিকেশন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তাছাড়াও হেডফোন জ্যাক ও আলাদা মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট দেয়ায় অনেকের সুবিধা হবে কারন এতে দুটি সিমের সাথে এসডি কার্ডও একই সাথে ব্যাবহার করা যাবে।
কিন্তু ২০১৮ সালেও ওপ্পো এই ফোনের দিয়েছে মাইক্রো ইউএসবি। অর্থাৎ পাচ্ছেন না ফাস্ট চার্জ। তবে ৩৪০০ মিলিএম্প ব্যাটারি মোটামুটি ভালোই ব্যাকাপ দিবে , তাদের নাকি এ আই ব্যটারি সেভার রয়েছে তাতেও খানিকটা সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু মিডিয়াটেকের পি৬০ চিপসেটের জন্যে এই ব্যাটারি আহামরি কিছু না। তাই ব্যাটারি ব্যাকাপ পাবেন এই প্রাইজ রেঞ্জে ভালোই গেমিং এ ৫ ঘন্টা ও ইন্টার্নেট ৭/৮ ঘন্টা বেশ কমাস ইউজ করার পরে। এবং এর কিছু মাস পরে আরো দু এক ঘন্টা কম ব্যাকাপ পাবেন।
এর ডিজাইন অনেক সুন্দর, তবে বডি প্লাস্টিকের যা উৎপাদন খরচ কমাতে ব্যাবহার করা হয়েছে। আর এতে বডি ভঙ্গুর হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ওপ্পো তাদের ফোনে প্রোটেকশন ইউজ করেছে কিনা জানায় নি, ব্যাবহার করলেও এতটা ভালো হবে না তাই আপনারা যারা এই ফোন কিনবেন তারা স্পেশাল প্রটেক্টর বা গ্লাস কিনে লাগিয়ে নিবেন যদি পাওয়া যায়। ওপ্পো নাকি এর সাথে কভার ও গ্লাস ফ্রি দিচ্ছে কিন্তু সবক্ষেত্রে এটি সম্ভব নাও হতে পারে। এর ডিস্প্লে খুবই বড়। এটি একটি সুবিধার চেয়ে বেশী অসুবিধা। সাধারনত এই সাইজের ডিস্প্লে পকেটে আটে না ও পকেটে আটলেও ভাঙ্গার চান্স থাকে। আর এর ডিস্প্লে রেজুলেশনও অতটা ভালো না। এই দামে অবশ্য আশা করা যায় না! আবার কালার ওএস এর আইফোন কপি ইউ আই অনেকের কাছে বিরক্তির
এর ক্যামেরা শুধু মাত্র ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম, অর্থাৎ ফোরকে নেই। এবং এর ক্যামেরাতে কোন হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার লেভেলের স্টেবিলাইজেশন নেই। তাই ক্যামেরা খুবই নড়বড়ে। তাছাড়াও লো লাইট ভিডিও রেকর্ডিং অতটা হ্যান্ডেল করতে পারে না দুটি ক্যামেরাই।লাইভ টেস্টে ভিডিওতে নয়েজ ও ডিটেলের কাটছাট দেখা গিয়েছে। ফোনের সেলফিতে বিউউটিফিকেশন খুবই বিরক্তিকর ছেলেদের জন্যে, কারন এটি ওভার সুন্দর করে ফেলে। এর মূল সমস্যার মাঝে একটি হলো ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরের অভাব। এতে ফেইস আনলক থাকলেও সামনে ফ্ল্যাশ নেই, তাই অন্ধকারে পিন বা পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করতেই হবে। এর ইউএসবি টাইপ সি নেই ও এটিতে হাই গ্রাফিক্সের গেইম খেলা যাবে না। হাই গ্রাফিক্সের গেইম খুবই ল্যাগি ও খেলার অনুপযোগী। হেলিও পি৬০ ৬৩৫ ও ৬৬০ এর মাঝামাঝি । তাই হাই গ্রাফিক্স কম্পেটিবল হওয়ার আশা করা যায় না আবার লো বাজেটে।
মোট কথা হলো এই প্রাইজে এই ফোনে যা যা দরকার সবই আছে, কিছু অপ্রয়োজনীয় ফিচার থাকলেও অনেক সুন্দর ও উচ্চমানের হার্ডওয়্যার আছে এই ফোনে। আবার প্রাইজও লো। সবজায়গায় এভেলেবল না হলেও বেশ কিছু স্থান থেকে অনলাইনে অর্ডার করে নিতে পারবেন এই ফোন। সাথে এমাজনের বিভীন্ন ছাড় ও ফ্রি সার্ভিস। অতএব ইচ্ছা আপনার।
ওপ্পো তাদের প্রথম বারে প্রায় ২০০,০০০ টি রিটেইলারের নিকট স্মার্টফোন বিক্রি করে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাদের মূল ফোকাস ক্যামেরা ও মিডরেঞ্জে ভালো ফোন ভোক্তাদের নিকট অফিশিয়ালি পৌছে দেয়া।
কিছুদিন আগে ওপ্পো তাদের এফ৭ লঞ্চ করে। ফোনটি মিডরেঞ্জের ফোন ছিলো এবং এর জনপ্রিয়তা মোটামুটি। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওপ্পো ও এমাজন মিলে একটি ইভেন্টে তাদের আরেকটি লেস বাজেটের ফোন লঞ্চ করে যা হলো ওপ্পো রিয়েলমি ১। এর দাম শাওমির তুলনায়ও কম, কিন্তু স্পেক শাওমির মতোই। এতে রয়েছে ৬ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ফুল এইচডি ডিস্প্লে , হেলিও পি৬০ চিপসেট , র্যাম যথাক্রমে ৩,৪ ও ৬ জিবি ও রম যথাক্রমে ৩২, ৪৬ ও ১২৮ জিবি। ওপ্পো যার জন্য বিখ্যাত তা হলো ক্যামেরা, আর রিয়েলমিতে ক্যামেরা হলো ১৩ মেগাপিক্সেল পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশ সহ ও সামনে ৮ মেগাপিক্সেল। দুটি ক্যামেরা দিয়েই ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। সামনের ক্যামেরায় এপার্চার এফ ২.২ থাকায় হাল্কা আলোতেও সেলফি ভালোই আসবে। সামনের ক্যামেরায় রয়েছে বিউটিফিকেশন। এর সেন্সরের লিস্ট লম্বা, কোনটিই বাদ দেয়া হয় নি।
এর ডিজাইন এক কথায় অসাধারন এবং সামনে ফুল ভিউ ডিস্প্লে ও এর সামনে নচ না থাকায় আমার খুবই ভালো লেগেছে। নচ আসলেই একখান ক্ষ্যাত জিনিস কেউ তো বুঝলো! যাই হোক এই দামে এত সুন্দর ডিজাইন ও স্পেকিফিকেশন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তাছাড়াও হেডফোন জ্যাক ও আলাদা মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট দেয়ায় অনেকের সুবিধা হবে কারন এতে দুটি সিমের সাথে এসডি কার্ডও একই সাথে ব্যাবহার করা যাবে।
কিন্তু ২০১৮ সালেও ওপ্পো এই ফোনের দিয়েছে মাইক্রো ইউএসবি। অর্থাৎ পাচ্ছেন না ফাস্ট চার্জ। তবে ৩৪০০ মিলিএম্প ব্যাটারি মোটামুটি ভালোই ব্যাকাপ দিবে , তাদের নাকি এ আই ব্যটারি সেভার রয়েছে তাতেও খানিকটা সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু মিডিয়াটেকের পি৬০ চিপসেটের জন্যে এই ব্যাটারি আহামরি কিছু না। তাই ব্যাটারি ব্যাকাপ পাবেন এই প্রাইজ রেঞ্জে ভালোই গেমিং এ ৫ ঘন্টা ও ইন্টার্নেট ৭/৮ ঘন্টা বেশ কমাস ইউজ করার পরে। এবং এর কিছু মাস পরে আরো দু এক ঘন্টা কম ব্যাকাপ পাবেন।
এর ডিজাইন অনেক সুন্দর, তবে বডি প্লাস্টিকের যা উৎপাদন খরচ কমাতে ব্যাবহার করা হয়েছে। আর এতে বডি ভঙ্গুর হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ওপ্পো তাদের ফোনে প্রোটেকশন ইউজ করেছে কিনা জানায় নি, ব্যাবহার করলেও এতটা ভালো হবে না তাই আপনারা যারা এই ফোন কিনবেন তারা স্পেশাল প্রটেক্টর বা গ্লাস কিনে লাগিয়ে নিবেন যদি পাওয়া যায়। ওপ্পো নাকি এর সাথে কভার ও গ্লাস ফ্রি দিচ্ছে কিন্তু সবক্ষেত্রে এটি সম্ভব নাও হতে পারে। এর ডিস্প্লে খুবই বড়। এটি একটি সুবিধার চেয়ে বেশী অসুবিধা। সাধারনত এই সাইজের ডিস্প্লে পকেটে আটে না ও পকেটে আটলেও ভাঙ্গার চান্স থাকে। আর এর ডিস্প্লে রেজুলেশনও অতটা ভালো না। এই দামে অবশ্য আশা করা যায় না! আবার কালার ওএস এর আইফোন কপি ইউ আই অনেকের কাছে বিরক্তির
এর ক্যামেরা শুধু মাত্র ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম, অর্থাৎ ফোরকে নেই। এবং এর ক্যামেরাতে কোন হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার লেভেলের স্টেবিলাইজেশন নেই। তাই ক্যামেরা খুবই নড়বড়ে। তাছাড়াও লো লাইট ভিডিও রেকর্ডিং অতটা হ্যান্ডেল করতে পারে না দুটি ক্যামেরাই।লাইভ টেস্টে ভিডিওতে নয়েজ ও ডিটেলের কাটছাট দেখা গিয়েছে। ফোনের সেলফিতে বিউউটিফিকেশন খুবই বিরক্তিকর ছেলেদের জন্যে, কারন এটি ওভার সুন্দর করে ফেলে। এর মূল সমস্যার মাঝে একটি হলো ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরের অভাব। এতে ফেইস আনলক থাকলেও সামনে ফ্ল্যাশ নেই, তাই অন্ধকারে পিন বা পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করতেই হবে। এর ইউএসবি টাইপ সি নেই ও এটিতে হাই গ্রাফিক্সের গেইম খেলা যাবে না। হাই গ্রাফিক্সের গেইম খুবই ল্যাগি ও খেলার অনুপযোগী। হেলিও পি৬০ ৬৩৫ ও ৬৬০ এর মাঝামাঝি । তাই হাই গ্রাফিক্স কম্পেটিবল হওয়ার আশা করা যায় না আবার লো বাজেটে।
মোট কথা হলো এই প্রাইজে এই ফোনে যা যা দরকার সবই আছে, কিছু অপ্রয়োজনীয় ফিচার থাকলেও অনেক সুন্দর ও উচ্চমানের হার্ডওয়্যার আছে এই ফোনে। আবার প্রাইজও লো। সবজায়গায় এভেলেবল না হলেও বেশ কিছু স্থান থেকে অনলাইনে অর্ডার করে নিতে পারবেন এই ফোন। সাথে এমাজনের বিভীন্ন ছাড় ও ফ্রি সার্ভিস। অতএব ইচ্ছা আপনার।
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|